Friday, February 6, 2015

কোর'আনের কথাঃ আল-কোরআনের উপর বাংলা ভাষায় আধুনিক, প্রাসঙ্গিক, যৌক্তিক, যুক্তিখন্ডন, যুগোপযোগী ও গভীর আলোচনা


বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

বাংলা ভাষায় কোরআন-এর এই অসাধারণ আলোচনাসমূহ আপনার জীবনকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করবে , কোরআনের উপলব্ধির এক নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে আপনার সম্মুখে, কোরআনের প্রতি মমত্ববোধ বাড়িয়ে দিবে অকল্পনীয়ভাবে ইন শা আল্লাহ।
কোরআনের উপর সর্ব প্রথম বাংলা ভাষায় এরকম চাতুর্মুখিক বুদ্ধিমত্ত্বা ও প্রাসঙ্গিক আলোচিত হয়েছে। ইংরেজী ও আরবীতে অনেক থাকা সত্বেও বাংলা ভাষায় এর আলোচনার প্রাসংগিকতা, বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য এক বিরাট রাহমা ও বারাকা হিসেবে অতুলনীয়!


আমরা আল্লাহকে আল-আলিম, আল-হাকিম ইত্যাদি গুনবাচক নামে বিশেষায়িত করি...এটা আমাদের বিশ্বাসের মধ্যেই থাকে। এটার মাধ্যমে আমরা কতটুকু যে নিজেদেরকে ধোঁকায় ফেলতেছি তার প্রমান আমরা বাস্তবে কোরআনকে কোরআনের মত পড়ি না, এর আয়াত নিয়ে গভীরভাবে ভাবি না, আল্লাহর জ্ঞানের বিশালতা ও অসীমতা নিয়ে পড়ার প্রতি মনোযোগ দেই না-কারণ কোরআনকে একেবারেই নিরস মনে হয় !!!

এটুকুই উপলব্ধি যথেষ্ট যে আমরা কোরআন পড়ি না...কারণ আল্লাহ কোরআনকে যেভাবে দেখতে বলেছে, পড়তে বলেছে, চিন্তা করতে বলেছে, রাসূল সা. যেভাবে পড়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন, সাহাবা রা. ও আমাদের সৎ পূর্ববর্তীগন পড়েছেন, শিখেছেন ও শিক্ষা দিয়েছেন এবং কোরআনের উপর, আরবী ভাষার উপর আধুনিক ইসলামী স্কলারদের লেখার প্রতি সম্পর্ক নেই।

কোরআন হবে আমাদের হাশরের ময়দানে সুপারিশকারী, ক্বাদরের মহত্বের আগে আল্লাহ কোরআনের কারণেই যে এর এত গুরুত্ব সেটা বর্ণনা করেছেন, কোরআন আমাদের জন্য হেদায়াত স্বরুপ, এমনকি রোজা ফরজের আয়াত আগে এসেছে কিন্তু মাহে রামাদান মাসের রোজার কথা বলার আগে আল্লাহ কোরআনকে নাজিল করেছেন সেটা বলেছেন!!! কিন্তু এর পরেও আমরা এর প্রতি খুব কম গুরুত্ব দেই, গুরুত্ব বেশি দেই ব্লগ/ফেইসবুক/অনলাইন/আড্ডা ইত্যাদিতে বেশি!! এই আমাদের আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার মেকি ভাব !

আধুনিক বাংলা ভাষায় কোরআনের উপর অসাধারণ চমকারিত্ত্বের চৌম্বকীয় শক্তির ধারা প্রবাহিত হয়েছে এইসব আলোচনায়। কোরআনকে যেখানে নিরস মনে হত এতদিনে, মনে হতে আরবের ইতিহাসের একটা অংশ পাঠ করছি, যেখানে আমাদের প্রাসংগিকতা খুবই কম পাওয়া যেতো...সেখানে এই আলোচনা আসলেই বাংলা ভাষাভাষীদের এক বিরাট নিয়ামত হিসেবে আবির্ভুত হবে ইন শাআ আল্লাহ।

আধুনিক মানুষের জন্য সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব এবং ঘটনাগুলোকে কুরআনের আলোকে দেখা এবং কুরআনের আয়াতে লুকিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির উপর আলোচনা হয়েছে এইসব প্রাসঙ্গিক লেখায়।


কু’রআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের বাণীর খুব কমই বোঝা যায়, কারণ আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবি শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। অন্যদিকে তাফসীরগুলো হচ্ছে চরম পর্যায়ের ভাব সম্প্রসারণ, যা পড়ার ধৈর্য অনেকেরই হয় না।

একারণে আমাদের দরকার মাঝামাঝি এমন একটা কিছু, যেটা কু’রআনের অনুবাদের মতো সংক্ষিপ্ত, অপর্যাপ্ত নয় এবং একই সাথে তাফসীরের মতো এত দীর্ঘ এবং খুঁটিনাটিতে ভরা নয়; যেটা কু’রআনের প্রতিটি আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, যুগোপযোগী উদাহরণ দিয়ে, বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং প্রমাণ দিয়ে প্রাঞ্জল বাংলায় তুলে ধরে , যা পড়ে আধুনিক যুগের মানুষ তাদের জীবনের ঘটনার সাথে মিলাতে পারবেন।
এটি কোনো তাফসীর নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন।

কোরআনের উপর বাংলা ভাষায় অসাধারণ এই বই এ অনেকগুলো আলোচনা স্থান পেয়েছে ।



বাংলাভাষায় কোর'আনের  উপর এমন ঝরঝরে তাফসীর ও এরকম অতুলনীয়ভাবে তুলে আনা শিক্ষাগুলো যেন মনে করিয়ে দেয় এই কোরআন বাংলাদেশের মানুষের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। সত্যিই তো এরকম হওয়ার কথা ছিল ইসলামের বৈশ্বিক চিন্তার দিক থেকে(রাহমাতাল্লিল আলামীন)
...অথচ আমাদের নিকট ইসলামকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় আরবের একজন মুহাম্মাদ নামের ব্যক্তির, তাঁর আরবের ইতিহাস...আর একারণেই অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করে না এর বৈশ্বিক লেভেলের গ্রহনযোগ্যতার কথা কম হয় বলে; বেশী হয় আরবের তৎকালীন সাহাবাদের ইতিহাস।

আমরা যদি ইসলামকে বৈশ্বিক লেভেলের মানে নিয়ে যেতে চাই তবে আমাদেরও সাহাবাদের মত করতে হবে...উসূল নিয়ে ইসলামকে প্রত্যেক দেশে ইসলামকে তাদের দেশের অন্তরে গেঁথে দিতে হবে...যেন মনে হবে এটা ভিনদেশী কোন ধর্ম নয়, এটাতে আল্লাহ যা বলেছেন যেন আমাদের বাংলাদেশের মানুষদের উল্লেখ করেই বলেছেন, তেমনি প্রত্যেকটি দেশের লোকেরাই তাই ভাববে...এভাবেই ইসলামের শিক্ষাগুলোকে তুলে আনা উচিৎ।




সত্যি এটি আপনার জীবনে কোরানের প্রতি দৃষ্টিভংগি বদলে দিবে। এতদিনে যেই কোরানকে নিরস মনে হত আজ থেকে সেটা প্রাণোজ্জল মনে হবে, মনে হবে এতো আমাদের কথাই বলা হচ্ছে, এটা চৌদ্দশত বছরের সেই প্রাচীন কোরআন আজকের কোরানই মনে হবে। যেই কোরআনকে পড়তে আমাদের এত অনীহা ছিল, সেই কোরআন ই আজকে আত্মার বাধনে আধ্যাত্বিকতায় মিলিয়ে যাবে, হবে আপনার সাথে এক অমূল্য বন্ধনে আবদ্ধ।
ডাউনলোড করে পড়তে থাকুন...আর চাইলে মোবাইল, আইপড, আইফোন, এন্ড্রয়েড সেট বা পিডিএফ সাপর্ট করে এমন জিনিসে ভরে নিতে পারেন, যাতে যেকোন জায়গায় গিয়ে যেকোন সময় অপচয় থেকে বাঁচা যায় ও কাজে লাগানো যায়। আর যারা মোবাইল দিয়ে পড়তে চান তাদের জন্য মূল সাইট দিয়েছি।


এখানে বিশেষত সেইসব রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তারা সবাই কোরানের উপর অনেক বিস্তৃত, গভীর ও আধুনিক কাজ করেছে। নোমান আলি খান, মুহাম্মাদ আসাদ, মুহাম্মাদ মোহার আলি, আমিন আহসান ইসলাহি, ড: ইসরার আহমেদ, আব্দুল হালিম সহ অনেকগুলো তাফসীরের বাংলা ভাষায় প্রাসংগিকতা, গভীরতা, ও কোরআনের অসাধারণ মুজিজাসমূহ তুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ!

যেমন আব্দুল হালিমের(অক্সফোর্ড) অনুবাদ...আরবী ভাষার উপর বর্তমান পৃথিবীতে যে ক’জন আছেন তাদের মধ্যে সেরা একজন।


মোহর আলী(বাংলাদেশ) এর কোরানের শব্দ তাত্ত্বিক অনুবাদ পৃথিবীর সেরা একটা অনুবাদ...যাতে কোরানের প্রতিটি শব্দের অর্থের গভীরতা প্রকাশ পায়।


উস্তাদ নোমান আলী খান কে কেই বা না চেনে বর্তমানে ! কোরআন ও আরবীর উপর তার কাজ অসাধারণ!


সম্ভব হলে প্রিন্ট করে বই আকারে বাধাই করে পড়তে পারেন...এটা পড়ার ক্ষেত্রে আরো বেশী মনোযোগ আনবে...সাথে অসাধারণ কোরআনের উপর অনেকগুলো চমৎকার লেখা পাচ্ছেন।


এই আলোচনা সমূহের মাঝে প্রবেশে আপনার কোরআনের প্রতি নিরস ভাব ও কোরআনের প্রতি অমনোযোগিতা উঠে যাওয়া তো দূরের কথা বরং কোরআন ছেড়ে উঠে যাওয়াই দুষ্কর হবে!!!


ডাউনলোড লিংক - কোরআনের কথার অসাধারণ আলোচনাসমূহ
http://quranerkotha.com/wp-content/pdf/Quraner%20Kotha%20Apr%202%20Online.pdf

মূল সাইট - http://quranerkotha.com/

দেখুন - আমার কু’রআন পড়তে ভালো লাগে না
http://blog.omaralzabir.com/2012/07/31/i-dont-like-reading-quran/


আর উস্তাদ খুররম মুরাদের “কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা” কিন্তু পড়তে কখনই ভুল করবেন না...ভুলেও ভুল করবেন না!